হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বাহরাইনে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর শক্তিশালী নৌ ঘাঁটি আছে । এ ছাড়া সে দেশে ব্রিটেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এক্সপার্টরা তো আছেই । বাহরাইন ব্রিটেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র কিনে ।
আর ঠিক এমনটা সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । আর সৌদি আরবে তো প্যাট্রিঅট ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমান ও ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রায় ৭০০০০ মার্কিন বিশেষজ্ঞও কর্মরত আছেন । এছাড়াও সৌদি ভূখণ্ডে ছোট বড় বেশ কিছু মার্কিন সামরিক ঘাটি বিদ্যমান । এত কিছু ব্যবস্থা ও সিস্টেম থাকতে ইরানী ড্রোনগুলো বাহরাইনের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ব্রিটিশ , মার্কিন মিসাইল , আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সামরিক ঘাটিগুলোর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে সৌদিতে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হলো ? গাঁজাখুরির গল্পের অবতারণা করেছে বাহরাইনে নিযুক্ত ইসরাঈলী রাষ্ট্রদূত যে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো মহাশক্তিধর পরাশক্তিগুলো সৌদিতে ইরানের কথিত ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্ষম না হওয়ার জন্য এখন চুনোপুঁটি ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতিও সৌদি ও বাহরাইনের মতো প্রতিক্রিয়া শীল আরব রাষ্ট্রগুলোর জন্য যেন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে !!! নিতান্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছু কি ?! সৌদিতে সফল হামলা ইয়ামানই করেছে।
কিন্তু সৌদি , ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে এ হামলা ছিল ইরানের কাজ । কারণ ইয়ামানের নাম বললে সৌদি , মার্কিন , ব্রিটেন , পাশ্চাত্য ও ইসরাইলের মান সম্মান ও ইজ্জত আর বজায় থাকবে না । আর দারিদ্র্যক্লিষ্ট ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়ামান যদি সৌদিতে অত্যাধুনিক মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ ও ফুটো করে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম হয় তাহলে ইয়ামানের চেয়ে সামরিক শক্তিতে বহু গুণ বলীয়ান ও শক্তিশালী ইরান হামলা চালালে মার্কিন, ব্রিটিশ ও পাশ্চাত্যের সামরিক ইউনিট ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো কী করবে ? কেমন ধ্বংসাত্মক হবে ইরানের হামলা ? ইয়ামানের হামলায় যদি সৌদিতে মার্কিন , ব্রিটিশ ও পাশ্চাত্যের সম্মিলিত সামরিক জোট কূপোকাত হয়ে যায় তাহলে এমতাবস্থায় চুনোপুঁটি ইসরাইলের উপস্থিতি কি সৌদিকে রক্ষা করতে পারবে ইরানের হামলা থেকে ?! এখন ইরানকে দমন করতে নাকি পুঁচকে ( পিচ্চি ) ক্ষুদে বাহরাইন চুনোপুঁটি ইসরাইলের সাথে জুটি বেঁধেছে !!! বাহরাইনের উচিত নিজ ভূখণ্ডে বিদ্যমান ব্রিটিশ নৌ ঘাঁটি থেকে ব্রিটিশ সৈন্য দেরকে খেদিয়ে বের করে দিয়ে ঐ ঘাটিটা ইসরাইলের হাতে তুলে দেয়া । কারণ ব্রিটিশ নৌ সেনা ও সামরিক ঘাঁটির নাকের ডগায় বাহরাইনের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে কিভাবে সৌদিতে ড্রোন হামলা চালাল ইরান ?!! তখন কেন ব্রিটিশ নৌ বাহিনীর রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আক্রমণকারী ইরানী ড্রোনগুলো শনাক্ত করে ভূপাতিত করতে পারল না ? কর্তব্যে অবহেলা নাকি ব্রিটিশ মার্কিন রাডার সিস্টেম ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বাধুনিক রাডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বলে ( ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) গর্বভরে দাবি ও প্রচার করে বেড়ায় তা কি আসলে ঐ সময় কাজ করে নি অর্থাৎ অকেজো হয়ে গিয়েছিল ? অর্থাৎ যত গর্জে তত বর্ষে না - এমন অবস্থা হয় নি তো তখন ?!!
যেখানে মহাশক্তিধর ব্রিটিশ , মার্কিন ও পাশ্চাত্যের সম্মিলিত সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফল হলো না কথিত ইরানী ড্রোন হামলা ঠেকাতে সেখানে তখন চুনোপুঁটি ইসরাইল কী করে তা দেখার বিষয় । আমরা সবাই তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
২৮-১১-২০২১